ঊবুন্টু – সবার জন্য উপযোগী অন্যতম একটা লিনাক্স ডিস্ট্রো । এর ইউজারও দিনে দিনে বাড়ছে । কিন্তু প্রথমে ইন্সটল করেই যে প্রধান সমস্যা গুলো হয় তাদের মধ্যে একটা হল বাংলা লেখা । আর বাংলা লেখার এখন অনেকের কাছেই প্রিয় লে-আউট হল অভ্র , আরো ভালো করে বলতে গেলে অভ্র ফোনেটিক । সাথে ইউনিজয় আর প্রভাত তো আছেই যদিও প্রভাত সিস্টেমের সাথেই দেয়া থাকে । এই টিউটরিয়ালটা মূলত তাদের জন্যই যারা অভ্র দিয়ে লিখতে চান । যদি ইউনিজয়ে লিখতে চান তবে আপনার জন্য সেরা সমাধান হবে iBus দিয়ে বাংলা লেখা , যেটা আবার ইন্সটলের সাথেই দেয়া থাকে !
যেভাবে যা করতে হবেঃ
- প্রথমে প্যাকেজ ম্যানেজার থেকে m17n-db এবং scim-m17n মার্ক করে ইন্সটল করে নিন । m17n লিখে সার্চ দিলেই পাওয়ার কথা । কমান্ড লাইনে করতে চাইলে –
$sudo apt-get install m17n-db scim-m17n
(কপি করলে $ চিহ্ন ছাড়া কবেন । এটা কমান্ড বোঝাতে ব্যবহার করা হয়)
- এবার অভ্রের জন্য এখান থেকে scim-avro প্যাকেজটা ডাউনলোড করে নিন । যে ডিস্ট্রো ব্যবহার করেন সেটার জন্য দেয়া ফাইলটা ডাউনলোড করবেন ।
- ডাউনলোড করা deb ফাইলটা ডাবলক্লিক করে ইন্সটল করুন ।
- এবার টারমিনাল খুলুন । লিখুনঃ
$sudo nautilus
কোন কমান্ডের আগে sudo লাগালেই তা রুট পারমিশন সহ এক্সিকিউট হয় 🙂
- যে ফাইল ব্রাউজারটা অপেন হবে তাতে File System -> etc -> X11-> Xsession.d ফোল্ডারটা খুলুন ।
- ফাকা যায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করে Create Document থেকে Empty File খুলুন । ফাইলটার নাম দিন 90im-switch .
- 90im-switch ফাইলটা খুলুন ; নীচের অংশটুকু কপি-পেস্ট করে দিন ।
export XMODIFIERS=”@im=SCIM”
export XIM_PROGRAM=”scim -d”
export GTK_IM_MODULE=”scim”
export QT_IM_MODULE=”scim”সেভ করে বেরিয়ে আসুন ।
- মাঝে মাঝে পারমিশন নিয়ে সমস্যা করতে পারে । তাই 90im-switch ফাইলটাতে রাইট ক্লিক করে Permissions ট্যাবে যান । Group এবং Other অংশে Access এর প্যারামিটার Read দেয়া না থাকলে করে দিন এবং আসুন ।
- System -> Preference -> SCIM Input Method Setup এ যান । IMEngine এর অধীনে Global Setup এ যান । Disable All এ ক্লিক করে সব ডিস্যাবল করে দিন ।
- Bengali তে যান। অভ্রের জন্য Avro Phonetic বা ইউনিজয়ের জন্য bn-unujoy মার্ক করুন । Apply করুন ।
- এবার ঠিক অভ্রের মত শুধু F12 চাপ দিয়ে লিখতে বাম দিকের FrontEnd অংশতে Global Setup এ যান ।
Trigger এর পাশে থাকা (…) বাটনে ক্লিক করুন । নতুন ঊইন্ডোতে Modifire অংশে CTRL থেকে ঠিক তুলে দিন ।
Key-Code এর একদম পাশে থাকা (…) বাটনে ক্লিক করুন । F12 চাপুন । Apply & OK দিয়ে বেরিয়ে আসুন ।
- এতো কাজ করে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন , আমাদের কাজ শেষ । এবার Applicarion -> Accesories থেকে Text Editor খুলুন ।
খালি যায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করে Input Methods এ যান । SCIM Input Method সিলেক্ট করে দিন । ব্যস কাজ শেষ ।
এবার F12 চেপে আপনার প্রিয় লে-আঊটে লিখা শুরু করুন ।
- কেউ যদি SCIM Toolbar দেখতে না চান তবে System -> Preference -> SCIM Input Method Setup এ যান । GTK অংশে টুলবার show এর ভ্যালু never দিন ।
এইতো হয়ে গেলো ! অমিক্রনল্যাব আর মেহেদী ভাইকে সারা অভ্র কমিউনিটির পক্ষ থেকে একটা বিশাল ধন্যবাদ । এমন একটা কী-বোর্ড না থাকলে হয়ত হাজার হাজার তরুণের বাংলা লেখা হত না ।
হ্যাটস অফ ইউ মেহেদী ভাই ।
ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাহায্য করার জন্য। আমি এখন বাংলাও লিখতে পারছি। সবই আপনার জন্য। কি বলে যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো তা বুঝতে পারছি না। তবে ভাই আমার তো মনে হচ্ছে আমি নিত্য নতুন সমস্যার সৃষ্টি করবো!!! 🙂 আশা রাখি তখনোও আপনাকে পাশে পাবো। 😀
সমস্যার সৃষ্টি করলে আমার ও লাভ আপনারও লাভ ! আপনি সমস্যার সমাধান পেলেন আর আর আমি একটা সমস্যার সমাধান জানতে পারলাম । এই যেমন আজ জানলাম কিভাবে সিটিসেল আল্ট্রা মোডেমটা কনফিগার করতে হবে 🙂
আচ্ছা একটা প্রশ্নঃ সরাসরি নেটওয়ার্ক ম্যনেজার কি কনফিগার করেছিল ( মানে সরাসরি A New Mobile Broadband Device Found দেখিয়েছিল ) না নেটওয়ার্ক ম্যানেজার থেকে করতে হয়েছে ( আমার পোষ্টের মত ) ?
এটা জানতে চাচ্ছি কারণ এখন এইটা নিয়ে একটা লেখা লিখছি তো … 😉
পুরো ব্যাপারটা অনেকটা এরকম-
প্রথমে মডেমটা লাগিয়ে নিয়েছিলাম,
তারপর usb-modeswitch_1.0.2-1_i386.deb ফাইলটা নামিয়ে ডাবল-ক্লিক করে ইন্সটল করে লিয়েছি্লাম এবং
usb_modeswitch কমান্ডটা দিয়েছিলাম। পরে যখন তারপরও ইন্টারনেট চালু হলো না, তখন
আপনি যেভাবে বলেছিলেন, সে অনুযায়ী আবার লিনাক্স মিন্টে যেয়ে মডেমটা একবার খুলে আরেকবার লাগিয়েছি, এরপর আবার টারমিনাল খুলে, sudo modprobe usbserial vendor=0x19d2 product=0xfff1
লিখে sudo wvdialconf-এ কমান্ডটি দিয়েছি।
তারপর,
[Dialer Zoom]
Username = waps
Password = waps
Phone = #777
Stupid Mode = 1
এবং
sudo wvdial Zoom কমান্ড হিসেবে লিখে এন্টার দিয়েছি। তারপর মজিলা খুলে দেখি ইন্টারনেট চালু হয়ে গিয়েছে। তবে চালু হতে বেশ সময় নেয় এবং পুরো প্রক্রিয়াটি মাঝে মাঝে একের অধিকবারও করতে হয়েছে। দেখা গেছে প্রথমবারে কাজ না করলেও পরেরবার ঠিকই কাজ করেছে।
(নতুন একটা জিনিস শিখতে পেরে এখন আমি প্রচন্ড আনন্দিত বোধ করছি, আর এ সবই সম্ভব হয়েছে আপনার জন্য, ধন্যবাদ 🙂 )
হুমম! বুঝা গেলো , আমি আরো ভেবেছিলাম নেটওয়ার্ক ম্যানেজার দিয়ে । আচ্ছা , আপনাকে প্রথমে একটা টিউটরিয়াল দিয়েছিলাম না ?
এরমত পান কিনা দেখুন তো ?
আর বারবার কমান্ড দেবার একঘেয়েমী এড়াবার জন্য আরেকটা কাজ করতে পারেন –
ডেস্কটপে রাইট বাটন ক্লিক করে Create a launcher এ দিন । নীচের মত প্যারামিটার দিন ।
এখন বারবার টারমিনালে কমান্ড না দিয়ে এইটাতে একটা ক্লিক করবেন শুধু , নেট কানেক্ট পর্যন্ত হয়ে যাবে 🙂
ধন্যবাদ, টিপসটির জন্য, কিন্তু আমি বলেছিলাম না ঝামেলা একটা লাগাবোই! আর তাই লাগিয়েছি 😦 । আমি লিনাক্স মিন্টে ঢোকার সময় একটা ইংরেজী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতাম, কিন্তু আজ সকালে কোনভাবেই ঐ পাসওয়ার্ড দিয়ে লিনাক্স মিন্ট খুলতে পারছি না। কাল ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আজ সকালে লিনাক্স মিন্টে ঢুকে দেখি এ অবস্থা। পাসওয়ার্ড ভুল নাকি তাও লেখে না। কিন্তু বারবার পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার করলে বারবারই লগইন পেইজ খুলে। পরে আমি Gnome বাদ দিয়ে Fail Gnome দিয়ে ঐ একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লিনাক্স মিন্টে প্রবেশ করতে পারলেও কোন ড্রাইভই মাউন্ট করা যায় না। এখন আমি কি করবো, আবার কি পুরো OS সেট আপ দিতে হবে? আমার তো আবার লিনাক্স মিন্ট সেট আপ দিলে, সাথে সাথে উইন্ডোজটিকেও সেট আপ দিতে হয়। কারণ বাসার অন্যরা কেউ তো উইন্ডোজ ছাড়া অন্য অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করতে অভ্যস্থ নয়, ফলে দুটো অপারেটিং সিস্টেম সেট আপ দেয়া মানে তো বিশাল ঝামেলা। আর তাছাড়া সেট আপ দেয়ার পর যদি আবার এ সমস্যা হয়। তখন তো আবার সেট আপ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে আমার অবস্থা হবে দেখার মতো, মনে হয় পাগল টাগলও হয়ে যেতে পারি। আচ্ছা, অভ্র সেট আপের জন্য কি এ সমস্যা হতে পারে? হয়তো এ জন্য কি বোর্ডটি অভ্রতে কনভার্ট করা আর তাই ইংরেজী পাসওয়ার্ডটি কাজ করছে না। কিন্তু তাই যদি হবে, তাহলে Fail Gnome হিসেবে তো ঐ একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে মিন্টে প্রবেশ করেছিলাম, পাসওয়ার্ড তো তখন কাজ করেছিল!!! আসলে, বর্তমানে আমার মাথায় কিছুই কাজ করছে না, কি করা যায় বলুন তো ভাই? কোন উপায় কি আছে?
সমস্যা নাই ! আপনি রিকভারী মোডে গিয়ে পাসওয়ার্ড নতুন করে দিতে পারবেন ।
এজন্য এই টিউটরিয়ালটা দেখুনঃ How to reset your password in Ubuntu .
আশা করি কাজ হবে 😉
আর আরেকটা কথা
ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না 😦 আপনি কি আলাদা পার্টিশনে লিনাক্স-মিন্ট সেটাপ দেন নি ? ?
ধন্যবাদ, আমার লিনাক্স মিন্ট উইন্ডোজ এক্সপি-এর G Drive-এ ইনস্টল করা। আলাদাভাবে কিভাবে পার্টিশন দিতে হবে তা আমি জানি না 😦 । সবসময় আমি উইন্ডোজ এক্সপি-এর পর লিনাক্স সেট আপ দেই এবং তখন দেখি লিনাক্স একা একাই G Drive দেখিয়ে দিচ্ছে সেট আপ করার জন্য। আর আমিও যেহেতু ভাল ভাবে জানি না, তাই করি অর্থাৎ G Drive-তেই লিনাক্স সেট আপ করি।
আর অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পরও পাসওয়ার্ড রিকভারি করা যাচ্ছে না। Drop to root shell……থেকে ইন্টার দেয়ার পর আমাকে রুট পাসওয়ার্ড দিতে বলে অথবা Ctrl D চাপতে বলে continue করার জন্য, তখন ls/home টাইপ করলেও স্ক্রীনে কোন লেখা দেখা যায় না এবং কিছুই করা যায় না।
আসলে আমার এখানে আপনার সমস্যাটা আমি রি-প্রডিউস করতে পারছি না , তাই কোন আইডিয়াও মাথায় আসছে না 😦
ভাইয়া, কোন ভাবেই কিছু করতে না পেরে ঠিক করেছি আবার সেট আপ দিব। তবে এবার আর লিনাক্স মিন্টে পাসওয়ার্ড দিব না। পাসওয়ার্ড নেই তো ঝামেলাও নেই!!! 😀
পাসওয়ার্ড ছাড়া তো ইন্সটলই করতে দিবে না 🙂
সে যাই হোক , উবুন্টু নতুন করে ইন্সটলের আগে এইটা দেখে নিন ।
আপনি একবার যদি আলাদা পার্টিশনে উবুন্টু/লিনাক্স মিন্ট ইন্সটল দেন তবে আর কখনও দেবার দরকার নাই 🙂 এক সেটাপেই বছর পার করে দিতে পারবেন ।
উইন্ডোস ইন্সটলের পর লিনাক্স মিন্ট হারিয়ে যায় ( বুট মেন্যু আসে না ) ; এটাও ঠিক করতে ৫ মিনিটের বেশী লাগে না 😉
আর এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে স্কীমের জন্য পাসওয়ার্ডের সমস্যা হয়নি , সমস্যা অন্য কোনখানে যা চোখ এড়িয়ে গেছে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ, পার্টিশন করার পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়ার জন্য, আপনার টিউটোরিয়াল অনু্যায়ীই কাজ করবো। আপনার দেওয়া টিউটোরিয়াল দেখে ব্যাপারটা অনেক সহজ মনে হচ্ছে। তবে এবার আর লিনাক্স মিন্ট নয়, এবার সরাসরি উবুন্টুই সেটআপ দিব। রেজিষ্ট্রেশন করার পর কয়েকদিন আগে দেখি বাসায় একটা উবুন্টু সিডি চলে এসেছে। কিন্তু এখনো ব্যবহার করা হয়নি। ভাবছি এ সু্যোগে ঐ সিডি কাজে লাগাই। আচ্ছা, লিনাক্স মিন্ট বেশি ভাল না উবুন্টু?
এখন শুধু টেনশন একটাই এবার উবুন্টুতে ইন্টারনেট চালু হবে তো!!! 😀
থ্যাংকু , আসলে লিনাক্স মিন্ট হল মডিফায়েড উবুন্টু , আপনি লিনাক্স মিন্টেই থাকুন । উবুন্টু আর লিনাক্স মিন্ট একই । উবুন্টুতে মিডিয়া কোডেক সাথে দেয়া থাকে না , লিনাক্স মিন্টে থাকে , এটাই মূল পার্থক্য । আর সাথে লিনাক্স মিন্টে মিন্ট মেন্যু নামে উইন্ডোসের স্টার্ট মেন্যুর মত একটা মেন্যু থাকে এই যা 🙂
আইনী কারণে উবুন্টু কিছু মাল্টিমিডিয়া কোডেক সিডি’র সাথে দিতে পারেনা। ফলে উবুন্টু ইন্সটলের সাথে সাথেই আপনি অনেক অডিও-ভিডিও ফাইল চালাতে পারবেননা। কোডেকগুলো আলাদাভাবে ইন্সটল করতে হবে আপনাকে। মিন্টে এই মিসিং কোডেকগুলো সিডিতে দেয়াই থাকে, ফলে মিন্ট ইন্সটল করেই অডিও-ভিডিও ফাইল চালানো সম্ভব। তাছাড়া যারা উইন্ডোজ ব্যবহারকারী তারা স্ক্রিনের নীচে বাম পাশে Start মেন্যু পেয়ে অভ্যস্ত, তাদের জন্য মিন্টে তাই বাম পাশে Mint মেন্যু রাখা হয়েছে। উবুন্টুতে মেন্যু পাবেন তিনটা সেটা আবার উপরে বাম পাশে। এটা ছাড়া বাদবাকী সবকিছুতেই মিন্ট ও উবুন্টু সমান, হাজার হোক মিন্টকে বানানোই হয়েছে উবুন্টুকে ঘষামাজা করে। সহজভাবে বললে:
(উবুন্টু) + (মাল্টিমিডিয়া কোডেক) + (মিন্ট মেন্যু) = (লিনাক্স মিন্ট)
তবে উবুন্টুতে কোডেক নাই শুনে ঘাবড়াবার কিছু নেই। কোডেক ইন্সটলেশন পদ্ধতি দেখতে ও প্রথমবার উবুন্টু ইন্সটলের পর কি কি করতে হবে সেসব জানতে হলে এই লেখাটা পড়ুন। (চামে নিজের লেখা গছিয়ে দিলাম 😀 )
আপনার এই লেখাটা আপনি না গছিয়ে (!) দিলেও আমি গছাতাম ; পরশু ব্লগের আরেকজন সেটাপ দিবেন উনাকেও এটা গছাব 🙂
ধন্যবাদ অভ্রনীল ভাইয়া 🙂
ভাই টারমিনাল কোথায় পাব?
Application -> Accessories -> Terminal এ গেলেই পাবেন ।
[…] সূত্রঃ এখানে […]