হেন্ডব্রেক – মুভির জন্য দাঁতভাঙা ( স্যরি , হাতভাঙা ) ট্রিটমেন্ট !

ল্যান থেকে হাই কোয়ালিটি মুভি নামাতে নামাতে হার্ডডিস্ক এর অবস্থা শেষ ! কিংবা ডিভিডি থেকে ডিইরেক্ট মুভি কপি করে রাখেন যার কোয়ালিটি নেটের ৩০০ এমবি মুভির সমান আর আপনি কার জন্য গিগা গিগা জায়গা খরচ করেন ? কিংবা ডাট ভিডিও এর সাইজ দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায় ? আর সর্বোপরি উবুন্টু ব্যবহার করেন বলে ভালো একটা রিপার / কনভার্টার পাচ্ছেন না ? তাইলে এই হাতভাঙা জবার আপনার মুভিগুলোে জন্যই 🙂

যারা নেট থেকে মুভি নামান তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন ইদানিং একদম ছোট ছোট সাইজের মাঝেই চরম ভালো কোয়ালিটি মুভি পাওয়া যাচ্ছে । এটা সম্ভব হয়েছে h.264 এর মত হাই কম্প্রেসিং ভিডিও ফরম্যাটের জন্য । আর তেমনি একটি কনভার্টার + রিপার হচ্ছে হেন্ডব্রেক । আর কথা না বাড়িয়ে ইন্সটল করে নিন এখান থেকে

অনেক কথা তো বললাম এবার কিছু জিনিসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া দরকার । ইন্সটল করে চালু করলে নীচের মত একটা চেহারা পাবেন , যেখানে উপরে একটা টুলবার পাবেন , নীচে পাবেন একটা ট্যাবড উইন্ডোঃ

Source নামের বাটনটা হল কোন ভিডিও আপনি কনভার্ট করবেন কা দেখিয়ে দেবার জন্য । যদি ডিভিডি থেকে রিপ করেন তবে ডিভিডি ইনসার্ট করে Source এ ক্লিক করলেই আপনাকে dvd নামে একটা ফাইল সিলেক্ট করতে দেবে , সেটা সিলেক্ট করলেই হবে ।
আবার যদি ধরেন ডিভিডি আগেই কপি করে রেখে দিয়েছেন তাইলে ? সেক্ষেত্র আরো ভালো , Source এ ক্লিক করার পর যে ফাইল সিলেকশন উইন্ডো আসবে তার নীচে থাকা Open Folder ( DVD or Batch ) এ ঠিক দিয়ে নিন । তারপর আপনার কপি করে রাখা ডিভিডি র ফোল্ডারটা দেখিয়ে দিন । এর পর শুধু স্টার্ট 🙂
Destination এ কোথায় সেভ হবে দেখিয়ে দিতে পারেন , আর চাইলে ফরম্যাট mkv করে নিতে পারেন ( এটাই আমার কাছে বেশী ভালো লাগে ) । আর ওয়েবে আপলোড করলে Web Optimized করে নিতে পারেন । এতে সামান্য একটু বাঢার করেই যাতে চলতে পারে তেমন করে এনকোড করা থাকে ।

এবার আসি একটু অসাধারন টাইপ ফিচারে , নীচের ভিডিও ( Video ) ট্যাবটাতে যান । দেখুন Bitrate , Target Size , Constant Quality নামে তিনটা অপশন আছে । যার যেকোন একটার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিও কোয়ালিটি কী হবে তা ঠিক করে দিতে পারেন । তবে আমি সাধারনত Target Size অপশনটাই ব্যবহার করি ( মোটামুটি ৬০০ এমবি দিলেই হয় ) । এই টার্গেট সাইজের জন্য হেন্ডব্রেক বিটরেট , ফ্রেমরেট সব ঠিক করে নেবে 🙂 , আপনাকে আর কিছুই করতে হবে না ।

Constant Quality অপশনে একটা ব্যাপার আছে । এটা হচ্ছে কোয়ালিটি ফ্যাক্টর … এটা একটা লগারিদমিক স্কেল এবং এর মান যত কম দিবেন তত ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হবে । তার মানে আপনি যদি মান হিসেবে ০ দেন তবে তা হবে হাইয়েস্ট কোয়ালিটি ( পুরাই খামাখা ) ।

সাবটাইটেলঃ অনেকে সাবটাইটেল ছাড়া মুভি দেখেন না ( আমার মত ) । আপনি চাইলে সাবটাইটৈলটা এমবেড করে দিতে পারেন । সেজন্য Subtitle ট্যাবে যেতে হবে । + এ ক্লিক করে এড করে দিতে হবে ।

হ্যান্ডব্রেকের যে ফিচারটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা হল এর প্যারালাল প্রসেসিং পাওয়ার । অনেকেই এখন কোর২ডুয়ো বা কোর আই ৩/৫ এর মত প্রসেসর ব্যবহার করেন । ডুয়োতে থাকে ২টা ফিজিক্যাল প্রসেসর আর আই৩/৫ থাকে ৪ টা ! কনভার্টের সময় প্রত্যেকটা কোর সমানভাবে ব্যবহার হয় ফলে কনভার্ট ও অনেক অনেক দ্রুত হয় ….
তাহলে মুভি পাগলা হলে আবিষ্কার করুন হ্যান্ডব্রেককে । ভালো থাকুন 🙂

18 comments on “হেন্ডব্রেক – মুভির জন্য দাঁতভাঙা ( স্যরি , হাতভাঙা ) ট্রিটমেন্ট !

  1. Rony Parvej বলেছেন:

    ফেভারিটে থেকে গেল 😀

  2. জামাল দারুণ হইছে এইটার কথা লেখায়।
    আমি একটা সেটিং সাজেস্ট করি যা ৭০০ মেবা মুভিকে কোয়ালিটি ৮০% এনসিওর করে ২০০-৩০০ মেবা’য় আনবে আর ২ গিগা কে ৫০০-৬০০ মেগায় নিয়ে আসবে।
    তা হল –
    resolution – 640 x 272
    frame rate – 23 fps
    bit rate – 455 kbps

    তবে অবশ্যই মূল মুভির রেজুলেশন আর ফিচার এর চে বেশি হতে হবে কেননা ৬৪০ x ৪৮০ মুভিকে 640 x 272 করতে গেলে তো সাইজ না কমে আর বেড়ে বসে থাকবে।
    এই সেটিং ইউজ করলে লাভ হয় অনেক
    দরকার মত সাইজ আরেকটু বাড়লেও বিট রেট বাড়িয়ে কোয়ালিটি ভাল করা যায়।

    • অনেক ধন্যবাদ কনফিগারেশনটা সাজেস্ট করার জন্য । আমি মূলত ২ – ৩ জিবির ব্লুরে রিপ গুলোকে ৭০০ এমবিতে এনে রাখার জন্যই এটা ব্যবহার করি ।

      তবে সাধারন যে ডিভিডিগুলো পাওয়া যায় বাজারে সেগুলো ২৫০ এমবি তে নিয়ে আসলেও তেমন কোন লস হয় না 🙂

  3. অদ্ভুত বলেছেন:

    আসলেই দারুন হইছে, আমার লাগবে কিছুদিন পরেই।

  4. রিপন মজুমদার বলেছেন:

    আপনি যে মুভি পাগলা- এই প্রথম জানলাম!

    সাইট লোড হতে সময় আগের চেয়ে অনেক বেশী নিচ্ছে কিন্তু!!
    এ মুহুর্তে আমি অবশ্য উইন্ডোজে। ল্যাংড়া জুম ব্যবহার করছি!!!

    • হা হা ! দেখার দিক থেকে পাগলা না হলেও কালেকশন করার দিক থেকে হয়ত পাগলাই । আশেপাশে বন্ধুদের কাছে থেকে ইদানিং শুধু মুভি কালেকশনের ধান্দাং থাকি 🙂

      ওয়ার্ডপ্রেস ইদানিং আমার কাছেও কেমন যেনো একটু স্ল স্ল লাগছে , ঠিক বুঝতে পারছি না এটা ওয়ার্ডপ্রেসের সমস্যা না আমার সমস্যা । তবে আশা করি ঠিক হয়ে যাবে ।

      ভালো থাকবেন ।

  5. সুপ্তি বাবুনি বলেছেন:

    http://www.linux.org.bd/post/477

    আপনার এই লেখাটা পরলাম। আমি এভাবেই উবুন্টু দিতে চাচ্ছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে –

    আমার D Drive টা ৮৮জিবির। সেখানে প্রায় ৫৫জিবির ফাইল আছে। আমি এখানেই পার্টিশন করে উবুন্টু ইনস্টল করতে চাচ্ছি। এখন আপনার বলা পদ্ধতিতে যদি করি আমার ফাইল গুলো কি মুছে যাবে? নাকি থাকবে? আমি কি ফাইল গুলো অন্য কোথাও সরিয়ে নিব?

    • বাকি ডাটাগুলো এমনিতে সরিয়ে নেবার কোন দরকার নাই । পার্টিশন রিসাইজ করলে পার্টিশনের বাকি ডাটা একদম অক্ষত থাকবে । তবে যদি বেশী ইনসিকিউর ফিল করেন তবে ডাটার একটা ব্যাকআপ রাখতে পারেন , তবে আমার মনে হয় তার দরকার হবে না ।

      আরেকটা জিনিস , উবুন্টু 10.10 তে ইন্সটল এর অংশটুকু একটু পরিবর্তন করেছে , আগের ইন্সটলেশনে প্রথমে স্থান , সময় ইত্যাদি বলতে হত এখন প্রখমেই ড্রাইভ সিলেক্ট করে দিতে হয় । একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন , ড্রাইভ সিলেক্ট করার সময় অবশ্যই ম্যানুয়াল অপশনটা সিলেক্ট করবেন ।

      অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য , ভালো থাকবেন ।

  6. সুপ্তি বাবুনি বলেছেন:

    আমার কাছে আছে 9.10। তাই আমি 9.10 চেষ্টা করব টেস্ট হিসেবে। পড়ে অন্য কিছু।

    আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।

  7. সুপ্তি বাবুনি বলেছেন:

    ভাইয়া আপনার লেখার মতই ইনস্টল করেছি। শুধু নেট কানেকশন নিয়েই গন্ডগোল হয়েছে। সেটা নেটের লোক দের বলেছি। হয়ত কাউকে পাওয়া যাবে ঠিক করে দেয়ার জন্যে।

    এখন তার আগে ১০.১০ ইনস্টল করে ফেলতে চাই। ২ দিন আগে আমার কাছে ১০.১০ এর সিডি টা আসছে।

    এখন আগের টার উপরে নতুন করে কিভাবে করব? একটু বলে বুঝিয়ে দিবেন ?

    • আপনার কাছে এখন আগের করা পার্টিশন দুইটা আছে – ১০ জিবি এবং ১জিবি । আগের মতই ইন্সটল শুরু করে ( পার্টিশনিং এর ঝামেলা আর নাই ) যখন পার্টিশন এর ব্যাপারে জানতে চাইবে তখন Manual ( Advance User ) সিলেক্ট করে ফরোয়ার্ড করবেন । এরপর আপনার কাছে পার্টিশনগুলোর একটা লিস্ট দিবে ।
      এবার ১০ জিবি এর ড্রাইভটা ( যেখানে আগে উবুন্টু ইন্সটল করেছিলেন ) সিলেক্ট করে Change এ ক্লিক করুন ।
      Use as – Ext4 / Ex3 File System .
      Mount Point – / (Root)
      দিয়ে Format এর চেকব্ক্সটা চেক করে নিন । ok করে Forward করুন । আগের মতই ইন্সটল করে নিন ।

      আপনার ইন্টারেনেট কানেকশন কেমন ? আইপি , ম্যাক ইত্যাদি বসাতে হয় না ইউজারনেম পাসওয়ার্ড বসাতে হয় । জানাবেন ? আইপিএস এর লোকেরা কেমন সাহায্য করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে 🙂

  8. সুপ্তি বাবুনি বলেছেন:

    আমার টাস্ক বারে দেখি ২টা কানেকশন আইকন। ২টাই দেখায় কাজ করছে। একটা পাসওয়ার্ড আর ইউজারনেম দিয়ে কানেক্ট করতে হয় পিসি অন করার পর।

    আমি এই ১২টার দিকে আবার চেষ্টা করে কানেক্ট করতে পেরেছিলাম। ব্রাউজ করেছি। উপডেট করতে দিয়েছিলাম “Update Manager” দিয়ে। মাঝে পথেই নেট চলে গেল। কিন্তু XP তে এসে দেখি নেট কাজ করছে। কিন্তু উবুন্টুতে আর পারলাম না ব্রাউজ করতে।

    আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।

জামাল উদ্দিন এর জন্য একটি উত্তর রাখুন জবাব বাতিল